লড়াইয়ে বাড়ছে হতাহত, সংলাপ নাকচ আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার

আর্মেনিয়ার দখলে থাকা নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে পুরোদমে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে আজারবাইজান। এতে উভয়পক্ষে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা বাড়ছে।
এদিকে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর আহ্বান সত্ত্বেও আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া।
আলজাজিরা জানায়, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ আলোচনার কোনো ধরনের সম্ভাবনার কথা সরাসরি নাকচ করে দেন।
একই টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেন, নাগরনো-কারাবাখে লড়াই অব্যাহত থাকলে কোনো আলোচনা নয়।
স্থানীয় সময় রবিবার ভোরে শুরু হওয়া লড়াইয়ে দুই পক্ষই পরস্পরের সেনা ও সামরিক সরঞ্জামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধনের দাবি করে আসছে।
আজারবাইজানের ৭৯০ সেনা হত্যা, একটি যুদ্ধবিমান, ৭২টি ড্রোন, এবং ট্যাঙ্কসহ ১৩৭টি সাঁজোয়া যান ধ্বংসের দাবি করেছে আর্মেনিয়া।
অন্যদিকে আর্মেনিয়ার সাড়ে ৫ শতাধিক সেনাকে হত্যা এবং ১৫টি রাডার ব্যবস্থা, তিনটি বিস্ফোরক গুদাম ও ট্যাঙ্কসহ বেশকিছু সাঁজোয়া যান ধ্বংসের দাবি করেছে আজারবাইজান। এছাড়া দখলে থাকা সাতটি গ্রাম ও দুটি পাহাড়ি এলাকা পুনরুদ্ধারেরও দাবি করেছে দেশটি।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উভয় দেশই সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর তারা দুটি স্বাধীন দেশে পরিণত হয়। প্রায় চার দশক ধরে নাগোরনো-কারবাখ অঞ্চল নিয়ে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে বিরোধ চলছে।
নাগোরনো-কারবাখ অঞ্চলকে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও এটি এখনো আর্মেনিয়ান নৃগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গত জুলাইয়ে সীমান্তে দুপক্ষের মধ্যে লড়াইয়ে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে আজারবাইজানের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাও রয়েছেন। এরপর থেকে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।