লক্ষ্মীপুরে জমি দখল করে দেয়াল নির্মাণ, অবরুদ্ধ ৩ পরিবার

লক্ষ্মীপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলসহ দেয়াল নির্মাণ করে তিনটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আমানত উল্যাহসহ অন্যরা সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে ভোগান্তি নিরসনসহ জমি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।
ক্তভোগী আমানত উল্যাহ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের হামছাদী গ্রামের মৃত হেদায়েত উল্যার ছেলে ও কাজিরদিঘীরপাড় বাজারের ডোকোরেটর ব্যবসায়ী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে আমানত তার ভাই আবদুর রহিম ও আহছান উল্যা মিলে বাড়ির সামনে তিন শতাংশ জমি ক্রয় করেন। তারা চাচাতো ভাই মফিজ উল্যার কাছ থেকে দুই লাখ ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে জমিটি ক্রয় করেন। কিন্তু মফিজের ভাই সিরাজ ও তার ছেলেরা জোরপূর্বক ওই জমিতে গত ১৪ ডিসেম্বর দেয়াল নির্মাণ করেন। এতে আমানতদের তিন পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় গত ২৮ ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সদর) অভিযোগ করা হয়। বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এ প্রেক্ষিতে এএসআই সাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর তারা পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আদালতে দায়ের করা অভিযোগে সিরাজ উল্যা, মফিজ উল্যা, রাজু হোসেন ও মোহনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
বিষয়ে জানতে চাইলে জমি বিক্রির সাক্ষী রুস্তম আলী বলেন, ‘চৌহদ্দি অনুযায়ী সিরাজরা জোরপূর্বক আমানতদের জমিতে দেয়াল নির্মাণ করেছে। ঘটনাটি সমাধানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’
অবরুদ্ধ পরিবারের আবদুর রহিম ও আহছান উল্যা জানান, চলাচলের পথে সিরাজরা দেয়াল নির্মাণ করে তাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে তারা নারী-শিশুসহ পরিবার নিয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সিরাজের ছেলে রাজু হোসেন বলেন, ‘আমাদের জমিতেই দেয়াল নির্মাণ করেছি। আমানতদের ক্রয় করা জমি দেয়ালের বাইরে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।’
সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে ঘটনাস্থল গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরে প্রতিপক্ষের লোকজন জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ আবার শুরু করার বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্তরা আমাকে জানিয়েছেন।’ব্যাপারে আমানতের
জুর আহমেদ বলেন, ‘আদা
ধারা অমান্য করে আমানতদের জমিতে প্রতিপক্ষ দেয়াল নির্মাণ করেছে। এ ঘটনায় ১৮৮ ধারায় আদালতে আরেকটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।’