বই পড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে যাওয়ায় সমাজে বিরূপ প্রভাব পড়ছে

দীর্ঘদিন পর সমন্বিত
উদ্যোগে নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠে শুরু হয়েছে অমর একুশে
বইমেলা। আজ রবিবার বিকেলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মেলার উদ্বোধন
করেন।
চট্টগ্রাম সিটি
করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সহায়তায় ১৯ দিনব্যাপী এ
বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বই পড়ার
নেশা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে যাওয়ায় সমাজে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা বাঙালিরা
মেধাবী। বাংলা সাহিত্য এখন পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধ সাহিত্য। অনেক বই অন্য
ভাষায় অনূদিত হয়েছে। সমগ্র পৃথিবীতে সমাদৃত হচ্ছে। যারা বই লেখেন তারা বেঁচে
থাকেন। বাংলাদেশে অনেক রাজনীতিবিদ ছিলেন। সবাইকে মানুষ মনে রাখেনি। যারা জীবনী
লিখে গেছেন, বই লিখে গেছেন তারা কিন্তু বেঁচে আছেন। সমাজে অনেক গুণী মানুষ ছিলেন।
অনেকে হারিয়ে গেছেন। কিন্তু যাদের সম্পর্কে কোনো পুস্তিকা বেরিয়েছে তারা বেঁচে আছেন।
বই শুধু সুকোমল বৃত্তি প্রকাশ করার জন্য নয়, সমাজকে পরিশীলিত করার জন্য নয়, নিজেকে
বাঁচিয়ে রাখতে বইয়ের বিকল্প নেই।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে
সভাপতির বক্তব্যে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ে
নির্দিষ্ট স্থানে বইমেলা শুরু হবে। চট্টগ্রামে একাধিক ব্যক্তি ও সংগঠন
বইমেলা করতো একুশকে ঘিরে। কিন্তু লেখক, সাহিত্যিক, প্রকাশকদের ক্ষোভ ছিল। নাগরিক
সমাজের দাবির প্রেক্ষিতে এবারের বইমেলা সাজিয়েছি। প্রাথমিকভাবে আমরা সফল হয়েছি।
অনেক প্রকাশক স্টল দিয়েছে, অনেক নতুন বই মেলায় এসেছে। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বইমেলা
হবে।
স্বাগত বক্তব্য দেন
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা। বক্তব্য দেন বইমেলার আহ্বায়ক
কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, সচিব সুমন বড়ুয়া
ও যুগ্ম সচিব জামাল উদ্দিন।
শুরুতে তথ্যমন্ত্রী
জাতীয় পতাকা, মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন চসিকের পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় জাতীয়
সংগীত পরিবেশন করে কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন কলেজের ছাত্রীরা।