ঘুরে আসুন ছবির শহর শিমলা থেকে
By Maria Islam
7 months ago
680

শিমলা
ছবি আঁকা এক শৈলশহর। আদ্যোপান্ত ব্রিটিশদের হাতে গড়া। পাইন আর ধুপির ছায়ার মোড়া। কালকা থেকে চলে আসুন খেলনা রেলে। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রেলপথ।
যা দেখবেন: প্রায় ৭০০০ ফুট উচ্চতায় এক শৈলশহর। কালকা হয়ে গোটা যাত্রাপথে আপনার সঙ্গী শুধুই মুগ্ধতা। ৯৭০টি সেতু, ৯৯টি টানেল আর ৯২০টি বাঁকের শেষে শৈলশহর শিমলা। অজস্র দোকানপাট, রেস্তোরাঁ আর পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। শিমলার মূল আকর্ষণ ম্যাল। শেষ প্রান্তে আংলেশিয়ান ক্রাইস্ট চার্চ। হলদেরঙা এই গির্জাটি ১৮৪৪ থেকে ’৫৭ সালের মধ্যে তৈরি হয়েছিল নিয়ো-গথিকশৈলীতে। প্রতি সন্ধ্যেয় অপরূপ আলোকমালায় সেজে ওঠে গির্জা। চলে আসুন শিমলা কালীবাড়ীতে। ডান দিকে মঙ্গলচণ্ডী আর বামে শ্যামলাদেবী। পাখির চোখে শিমলাকে দেখতে হলে আসুন জাখু হিলসে। ম্যাল থেকে ২ কিমি চড়াই ভেঙে অথবা ঘোড়ার পিঠে চেপে চলে আসুন। আর দেখে নিন হিমেল হাওয়া জড়ানো পাহাড়ঘেরা অনবদ্য শিমলা, যেন পিকচার পোস্টকার্ড! দূরে ১৫০ ফুট হনুমান মূর্তিটি চমৎকার। শিমলা থেকে ৪ কিমি দূরে অবজারভেটরি হিলস।
১৮৮৮ সালের লর্ড ডাফরিনের বাংলোটি বর্তমান ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স স্টাডিজ ক্যাম্পাস। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ৫ কিমি দূরের সামার হিলসের চুড়োয় চলে আসুন। তবে এর জন্য হাতে একদিন সময় বেশি রাখতে হয়। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়, চ্যাডউইক ঝর্না, তারাদেবী মন্দির, সঙ্কটমোচন মন্দির আর আনানডেল রেসকোর্স দেখতে দেখতে সারা দিন কোথা দিয়ে কেটে যাবে টেরই পাবেন না।
মিথ বলছে: শ্যামলাদেবীর নাম থেকেই শিমলার নামকরণ হয়েছে। এই পাহাড়ি শৈলশহরের ইতিহাস জানতে হলে, অবশ্যই দেখে নিন শিমলা মিউজিয়াম। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
কী ভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে ট্রেনে কালকা। কালকা থেকে টয় ট্রেনে চলে আসতে পারেন শিমলা। তবে চণ্ডীগড় থেকে সিমলার দূরত্ব ৯০ কিমি। যাঁরা বিমানে আসবেন তাঁরা দিল্লি এসে ট্রেনে অথবা গাড়িতে চলে আসতে পারেন শিমলা।
কেনাকাটা: শপিং প্যারাডাইস বললে কম বলা হবে। ম্যালে ছড়ানো ছিটানো নানান দোকানপাট। শীতবস্ত্রের অঢেল সম্ভার। কেনাকাটা সেরে নিতে পারেন। তবে দরদাম করে নিন। কাঠের নানান সামগ্রী কিনতে চলে আসুন লক্কড় বাজার এলাকায়।
যা করবেন না: হিমাচলের সর্বত্র প্রকাশ্যে ধূমপান করলে জরিমানা করা হয়।