খাশোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করতে সৌদিকে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ তুরস্কের

ওয়াশিংটন
পোস্ট বলছে, নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক ও রাজতন্ত্রের সমালোচক জামাল খাশোগিকে হত্যা
করার কথা স্বীকার করতে সৌদি আরবকে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করেছিলেন তুরস্কের
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। আর শেষ পর্যন্ত চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে
বাধ্য হয়ে খাশোগি কনস্যুলেটের ভেতরেই খুন হয়েছেন বলে স্বীকার করে সৌদি
রাজতন্ত্র। সৌদি আরব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর ওয়াশিংটন পোস্টে কাজ করতেন
খাশোগি।
খাশোগি
নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিনের মাথায় শুক্রবার সৌদি জানায়, তুরস্কের ইস্তাম্বুল
কসন্যুলেটেই সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। দেশটির দাবি, গোয়েন্দা
কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে খাশোগির মৃত্যু হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত
থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা সংস্থার উপ-প্রধান আহমদ আল আসিরি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ
বিন সালমানের অন্যতম দেহরক্ষি সৌদ আল কাতানিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা
হয়েছে মোট ১৮ জনকে।
খাশোগিকে
হত্যার বিষয়টি খোলাসা করতে এরদোগানের ভূমিকার প্রশংসা করে বিশদ কলাম ছেপেছে
ওয়াশিংটন পোস্ট। এতে বলা হয়, ‘ঘটনা প্রকাশ করতে এরদোগানের মতো আর কেউ সৌদি আরবের ওপর এত চাপ দেয়নি।
শেষ দু’সপ্তাহে এরদোগানের সরকার শুধু তদন্তই করেনি। তারা সমস্যাটি তুলে ধরে
সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। প্রকাশ করেছে তুর্কির মাটিতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়
হত্যাকাণ্ডের নীল-নকশা।’
খাশোগি
নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিনের মাথায় শুক্রবার সৌদি জানায়, তুরস্কের ইস্তাম্বুল
কসন্যুলেটেই সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে। দেশটির দাবি, গোয়েন্দা
কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে খাশোগির মৃত্যু হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত
থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা সংস্থার উপ-প্রধান আহমদ আল আসিরি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ
বিন সালমানের অন্যতম দেহরক্ষি সৌদ আল কাতানিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা
হয়েছে মোট ১৮ জনকে।
তুর্কি
বান্ধবীর সাথে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র আনতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি
কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলাম লেখক ও
স্বেচ্ছা-নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি।
শুরু
থেকেই তুরস্ক দাবি করেছিল খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার দিন সৌদি গোয়েন্দাদের ১৫ সদস্যের
একটি দল রিয়াদ থেকে ইস্তাম্বুল আসে। কনস্যুলেটের ভেতরে ঢুকে তারাই খাশোগিকে খুন
করে। এরপর তার দেহ খণ্ডবিখণ্ড করা হয়। সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল কাজ শেষে
কনস্যুলেট ত্যাগ করেন খাশোগি। দুই সপ্তাহে মাথায় আগের দাবি থেকে সরে এসে
কনস্যুলেটেই খাশোগি খুন হন বলে শুক্রবার স্বীকার করে সৌদি আরব।
খাশোগি
দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তার এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। সৌদি রাজতন্ত্রের কঠোর
সমালোচক ছিলেন তিনি।